আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিপাটি করা বিছানা। রয়েছে বালিশ, কোল বালিশ, ভাঁজ করা চাদর। সেই নরম বিছানাতেই ঘাপটি মেরে রয়েছে ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ। এই সাপ আবার যেসে নয়, বিশাল বিষাক্ত। দক্ষিণ আফ্রিকায় স্টেলেনবোশ নামে এক ব্যক্তি বালিশ সরাতেই দেখা মেলে এই সাপের। তবে, ভয় পাননি ওই যুবক। উল্টে কৌশলে সাপটিকে ধরে নিরাপদ জায়গায় ছেড়েছেন তিনি।
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Stellenbosch Snake Removals (@stellenbosch_snake_removals)
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টেলেনবোশের পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই সে লিখেছেন, "এই সাপটি কালো থেকে গাঢ় বা হালকা বাদামী, হলুদ রঙের হয়ে থাকে। ছোট অবস্থায় এই সাপের গলায় একটি গাঢ় ব্যান্ড থাকে৷ কেপ কোবরা সহজেই মোল স্নেক এবং ব্ল্যাক স্পিটিং কোবরাকে বিব্রান্ত করে। এই কোবরা সবচেয়ে বিপজ্জনক। ব্ল্যাক মাম্বারের মতোই কেপ কোবরার কামড়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটে। আক্রমণের মুখে কেপ কোবরা দ্রুত ফণা তুলতে ও কামড়াতে সক্ষম।"
স্টেলেনবোশ আরও লিখেছেন যে, "এই সাপ মূলত কেপ প্রদেশে দেখা যায়। তবে উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ বতসোয়ানা এবং নামিবিয়া পর্যন্তও দেখা মেলে এর। কেপ কোবরার বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী। একবার কামড়েই যেকোনও জীবের দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে ও অ্যান্টিভেনম অপরিহার্য।"
কেপ কোরবার বৈশিষ্ট-
এই বিষধর সাপের ভয়ে গভীর জঙ্গলে যেতে ভয় পান অনেকেই। তবে শুধু জঙ্গলেই নয়, মরুভূমি থেকে শুরু করে জলময় এলাকা আবার পাথুরে জমিতেও অতি দক্ষতার সঙ্গে শিকার করে থাকে এই কেপ কোবরা।
এই কেপ কোবরা উজ্জ্বল হলুদ রং থেকে শুরু করে গাড় বাদামী এবং কালো রংয়েরও হতে পারে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই সাপের বিষ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যাকে কেপ কোবরা আক্রমণ করবে সে অতি দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। টিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় পর্যন্ত মিলবে না। অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তারপরই সরাসরি মরণ।
যেকোনও পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে বলে একে ধরা অতি শক্ত। প্রায় দেড় মিটার পর্যন্ত লম্বা এই সাপ দেখা গেলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে এটি ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পুরুষ এবং নারী উভয় কেপ কোবরাই সমান হিংস্র। দক্ষিণ আফ্রিকার বুকে আগে এই ধরনের সাপের খুব একটা প্রভাব ছিল না। কিন্তু পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার জন্য এখন রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে কেপ কোবরা।